রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও ছাত্রদের সংঘর্ষে আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মারা যান ব্যবসায়ী মুরসালিন।
‘স্বামীকে হারিয়েছি। দুটি ছোট ছোট সন্তান নিয়ে এখন কোথায় দাঁড়াবো! কী করবো!’ এভাবেই বিলাপ করতে করতে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন মুরসালিনের স্ত্রী মিতু আক্তার। সামনের দিন কীভাবে চলবে, তা নিয়ে শঙ্কা তার চোখে-মুখে।
এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না মুরসালিনের মা-ও।
ময়নাতদন্তের পর এদিন দুপুরেই রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের পশ্চিম রসুলপুরের জরাজীর্ণ বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় মুরসালিনের মরদেহ। এরপর সেখানে দেখা দেয় হৃদয় বিদারক পরিস্থিতি। সাত বছরের মেয়ে হুমায়রা ও পাঁচ বছরের ছেলে হানিফকে নিয়ে কাঁদছিলেন মিতু আক্তার। সংবাদমাধ্যমকে বললেন, ‘যে সংসার চালাতো সে আর নেই। কীভাবে কী করবো কিছু মাথায় আসছে না। আমার স্বামী গণ্ডগোলে পড়ে গেছে। কারা মেরেছে সেটাও জানি না। মারামারির ঘটনার পরও মার্কেট সমিতি কেন মার্কেট বন্ধ রাখলো না, এমনটা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, যা হারানোর সেটা আমরা হারিয়েছি। আমার দুইটা সন্তান। ১৩ বছরের সংসারের সব শেষ হয়ে গেল।
সরকার ও মার্কেট সমিতির লোকজন যেন মুরসালিনের পরিবারের পাশে দাঁড়ায়, এমন আহ্বান জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।